প্রবাসীরা নিজের জীবনটাকে নিয়ে যদি ভাবতো, তাহলে এক বছরের বেশি কেউ থাকতো না বিদেশের মাটিতে, কারন প্রবাসে টাকা থাকলেও, এখানে কিন্তু জীবন নেই।
যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই অপছন্দের পেশার লিষ্টে, ১ নাম্বারে ছিল প্রবাসী পেশাটা।
কারন প্রবাসী মানেইতো, স্ত্রী সন্তান আর বাবা মাকে ফেলে বছরের পর বছর বাহিরে পরে থাকা।






আমি ভাবতাম আমাকে দিয়ে অন্তত প্রবাসী কাজটি হবেনা, কারন বাড়ি ছেড়ে দু’দিন বাহিরে থাকলেই ছোট বাচ্চাদের মত কান্না চলে আসতো বাড়ির জন্যে।
কি আজব নিয়তি দেখেন, আজ আমা’র নামটাও প্রবাসীদের খাতাতে। তবে প্রবাসে আসার আগে বা প্রবাসে এসে যা বুঝলাম, জানলাম এবং দেখলাম। তাতে প্রায় সমস্ত প্রবাসীই,
একমাত্র পরিবারের কথা ভেবেই প্রবাসের পথে পা বাড়ায়।
যে মানুষগুলোর বাড়ি ছেড়ে বেশি দিন কোথাও থাকার অভ্যাস নেই। প্রবাসে তাদের প্রথম বছরের প্রায় প্রতি রাতেই বালিশ ভিজে চোখের জলে।






প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও, ধিরে ধিরে সমস্ত দুঃখ কষ্ট সয়ে নিতে শিখে, নিরবে নিবৃতে সবার অজান্তে, একমাত্র পরিবারের কথা ভেবেই।
প্রবাসে এসে কয়েক মাসেই সবাই বুঝে যায়, এখানে তার নিজের বলতে কিছুই নেই, তবে এখানে সে পরে থাকতে পারলে,
একটু ভালভাবে চলতে পারবে তার পরিবার পরিজন। ঠিক তখন থেকেই দাঁতে দাঁত চেপে, সবার অজান্তে নিরবে সয়ে নিতে থাকে সমস্ত না পাওয়ার কষ্ট গুলো।






আর এভাবেই প্রতিটি প্রবাসী, একমাত্র পরিবারের জন্যে জড়বস্তু হয়ে পরে আছে প্রবাসের মানচিত্রে বছরের পর বছর কিংবা যুগ, যুগ ধরে।
তাদের নেই কোন অভাব অ’ভিযোগ, নেই কোন ক্লান্তি কিংবা ডর ভয়। প্রতিটি প্রবাসী, এক একটি যুদ্ধা, সে যুদ্ধ করে সমস্ত অভাব অনটন থেকে মুক্ত রাখে তার পরিবারকে।
সুমন সিকদার,
সিঙ্গাপুর প্রবাসী।