যখন কেউ প্রবাসের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তখন তাকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয়। পুরো পৃথিবীটা থাকে তার মাথার উপর। সে থাকে অন্য সবার থেকে আলাদা।
ব্যাংক লোন, জমি বন্ধক এমনকি মা’য়ের কানের সোনার দুল বিক্রি করে এজেন্টের টাকা, বিমান ভাড়ার টাকা পরিশোধ করে বিদেশের মাটিতে পা রাখতে হয়।






তখন থেকে প্রবাসীর মনে থাকে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার রঙিন সুখের স্বপ্ন। প্রতিমাসে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে। ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করবে। ভাইবোনকে লেখাপড়া শেখাবে। মা-বাবার ভালো চিকিৎসা করাবে।
বসবাসের জন্য সুন্দর ঘর তৈরী করবে। বিয়ের পর প্রেয়সীকে নিয়ে সুখের সংসার করবে। মনের ঘরে ছোট ছোট এমন অনেক আশা বাসা বাঁধতে থাকে। আরও অনেক অজানা স্বপ্ন সারাক্ষণ চোখের পাতায় লেপ্টে থাকে।






তারপর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে করতে হয়তো পার হয়ে যায় কয়েক বছর। পরিবারের ভরণপোষণের খরচ জুগিয়ে হাতে যেই টাকা অবশিষ্ট থাকে সেই টাকা দিয়ে বড় কোনো স্বপ্ন দেখা যায় না। বরং সেটা দিয়ে শুধুমাত্র ছোট পরিসরে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা যায়।
সেই বেঁচে থাকা বিশাক্ত বেঁচে থাকা। সেই বাঁচায় কোনো আনন্দ নেই। শান্তি নেই। মুকুলে ঝরে যায় সেই সকল সুখ।






প্রথম অবস্থায় তিন থেকে পাঁচ বছর প্রবাসে কাজ করার মানসিকতা থাকে। পরিবারের ভরণপোষণ আর নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করে ধীরেধীরে পার হয়ে যায় পনেরো থেকে কুড়ি বছর।
কখন যে বছরগুলো অতীত হয়ে যায় সেটা বুঝতেই পারে না। পনেরো থেকে কুড়ি বছর প্রবাসে থেকে দেশে যাবার পর আবার সেই শুণ্য হাত।






প্রথম থেকে জীবন শুরু করার সময়টায় হৃদয়ে লালন করা বয়স, শরীরের শক্তি কোনোটায় আর অপেক্ষায় থাকে না। তখন হা-হুতাস ছাড়া কি আর করার থাকে। এভাবে আস্তে আস্তে অনেক সুখ মুকুলের মত ঝরে যায়। প্রবাসীর স্বপ্ন দেখা হয়ে যায় ভুল।
প্রথম থেকে জীবন শুরু করার সময়টায় হৃদয়ে লালন করা বয়স, শরীরের শক্তি কোনোটায় আর অপেক্ষায় থাকে না। তখন হা-হুতাস ছাড়া কি আর করার থাকে। এভাবে আস্তে আস্তে অনেক সুখ মুকুলের মত ঝরে যায়। প্রবাসীর স্বপ্ন দেখা হয়ে যায় ভুল।