সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমাতে সাভারের আশুলিয়ায় দক্ষতা বৃদ্ধির ট্রেনিং নিয়েও অনিশ্চয়তায় আছে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা। সিঙ্গাপুরের বিল্ডিং কন্ট্রাকশন অথরিটির প্রতিনিধি দল তাদের ভ্রমণসূচি বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে।






জানুয়ারিতেও ঢাকায় এসে দেশের রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে দ্রুত ফিরে গেছে ওই প্রতিনিধি দল। এ অবস্থা চলতে থাকলে সিঙ্গাপুরে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ স্থায়ীভাবে হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অধিকাংশ জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
গত ২১ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে একটি প্রতিনিধিদল আসলেও ৮টির মধ্যে মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া কিছু শ্রমিককে বাছাই করে দ্রুত চলে যায় তারা। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ নাগাদ আবার প্রতিনিধি দলের ঢাকায় আসার কথা থাকলেও তারা না আসারই ইঙ্গিত দিয়েছেন।






আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার সাউথ পয়েন্ট ওভারসীসের প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর পাইলিং সাউথ পয়েন্ট স্কিল সেন্টারের ব্যবস্থাপক আবুল হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে দেশটির সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশের ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে সিঙ্গাপুর বিল্ডিং কন্ট্রাকশন অথরিটির প্রতিনিধিদল তাদের পরীক্ষা নেয়। ওই পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয় তারাই সিঙ্গাপুরের ভিসা পায়।






খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় ইউনিক গ্রুপের ইউনিক ভোকেশনাল ট্রেনিং এন্ড টেস্ট সেন্টারে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদলের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ৭০০ শ্রমিক। দেড় মাস আগে তাদের প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তারা।






অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাউথ পয়েন্ট ও ওয়েলটেক ট্রেনিং এন্ড টেস্ট সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে আরো এক হাজার শ্রমিক।
সব মিলিয়ে আশুলিয়ার ৭টি প্রতিষ্ঠানেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে প্রায় তিন হাজার সিঙ্গাপুরগামী শ্রমিক।
সব মিলিয়ে আশুলিয়ার ৭টি প্রতিষ্ঠানেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে প্রায় তিন হাজার সিঙ্গাপুরগামী শ্রমিক।